কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গালাগালের প্রতিবাদ করায় প্রাক্তন স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী টুনি খাতুন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে শহরের নদীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়া কাঁচামালের ব্যবসায়ী। সে ব্যবসায়ী সুত্রে কালীগঞ্জের নদীপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। সে কুমিল্লার লাকসাম এলাকার বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে আমরা আলাদা বসবাস করি। ওই ব্যক্তি নদীপাড়ায় ভাড়া থাকেন। সে একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। তার বাড়িতে আমার মামাতো বোন কাজ করে। সম্প্রতি তাকে আমি কাজ না করার কথা বলি। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আমাকে কালীগঞ্জ ছাড়া করার হুমকি দেন। বিকেল ৪ টার দিকে তার বসতবাড়ির সামনে গেলে সে আমাকে আবারো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি গালাগাল করার প্রতিবাদ করলে সে ঘরের মধ্যে থেকে বাঁশ এনে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তিনি থানায় গিয়ে অভিযাগ দিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার পর প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘরের দরজা ভেঙে ৮০ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া। এ সময় তার প্রাক্তন স্ত্রী ও ছেলে বাপ্পিসহ তিনজন তাকে মারধর করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাচ্চু মিয়া কাঁচামালের ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে তিনি কালীগঞ্জে বসবাস করেন। কুমিল্লার লাকসামে তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। ২০০৮ সালের দিকে কালীগঞ্জে টুনি খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর গত ৫ বছর আগে টুনি খাতুনকে ডিভোর্স দেন। ১২ বছর টুনির সঙ্গে দাম্পত্য জীবন কাটান বাচ্চু মিয়া। বাচ্চুর নারীঘটিত কাহিনীর জন্য টুনির সঙ্গে সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়েছে। বাচ্চু মিয়া নদীপাড়ার এই ভাড়া বাড়িতে বিভিন্ন সময় নারী নিয়ে আসেন বলে জানান একাধিক এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে বাচ্চু মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছি। নারীঘটিত বিষয় নিয়ে মারামারির সুত্রপাত। বাচ্চু মিয়া তার প্রাক্তন স্ত্রীকে প্রথমে মারধর করে। ওই নারীর মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ওই বাচ্চু মিয়া তার স্ত্রীর সন্তানকে অস্বীকার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন বিভিন্ন সময় বাচ্চু মিয়া তার বাসায় নারী নিয়ে আসেন। ৮০ লাখ টাকা নেওয়ার ঘটনা সত্য মনে হয়নি বলেও তিনি জানান।