নিজস্ব প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এ সময় তার ভাই সুমনকেও মারধর করা হয়।
রবিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যশোর ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিকিৎসার জন্য যশোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে গেলে স্থানীয়রা তাকে চিনে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়রা যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাই সুমনকে হেফাজতে নেয়।
যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাইকে হেফাজতে নিয়েছি। এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে কিনা। তদন্তের পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাবেক চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চালাতেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে তিনি কঠোর ভূমিকা রাখতেন। এছাড়াও মাদক ব্যবসার গডফাদার হিসেবে তার নাম রয়েছে এবং বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এদিকে, তার গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে এই ঘটনাকে দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।