নিজস্ব প্রতিবেদক
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হওয়া পাঁচ দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান।
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জামায়াতের নেতারা
গত ১৯ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে কোটচাঁদপুর পৌর শহরের গাবতলা পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচটি পরিবার সর্বস্ব হারায়। ২১ মার্চ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানান ও ধৈর্য ধারণের পরামর্শ দেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন—
- কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা তাজুল ইসলাম
- পৌর আমির মুহাদ্দিস আব্দুল কাইয়ুম
- উপজেলা বাইতুল মাল সম্পাদক মাস্টার রেজাউল ইসলাম
- সাবেক পৌর আমির মাওলানা নজির আহমদ
- সাবেক শিবির নেতা আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।
সহযোগিতার আশ্বাস ও ত্রাণ বিতরণ
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে অধ্যাপক মতিয়ার রহমান প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ বান্ডিল টিন ও কিছু খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। তিনি পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।
আগুনে সর্বস্ব হারানো ৫ পরিবার
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানায়—
- আগুনে ঘরের খাবার, আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড় ও নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
- তারা আগেও হতদরিদ্র ছিল, এখন একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
- পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
- আগুনে পুড়ে যাওয়া শোবার ঘর হারিয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রশাসন ও অন্যান্য সহায়তা
স্থানীয় প্রশাসন থেকেও কিছু সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান—
"অনেকেই সমবেদনা জানাচ্ছেন, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তবে এখন পর্যন্ত জামায়াত ইসলাম থেকে কিছু টিন ও খাদ্য সামগ্রী এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (টিএনও) অফিস থেকে কিছু খাদ্য সামগ্রী পেয়েছি।"
তারা জানান, অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা।
সাহায্যের আবেদন
ক্ষতিগ্রস্তরা রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। তারা বলেন—
"এই বিপুল ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবো, তা ভেবে দুশ্চিন্তায় আছি। যদি আরও সহযোগিতা না পাই, তবে আমাদের পক্ষে ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব হবে না।"
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের আরও কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।