নিজস্ব প্রতিনিধি,
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শবনম মুস্তারী। এ সংক্রান্ত মামলাটি ঝিনাইদহ আদালতে দায়ের করা হয়েছে।
মামলার প্রসঙ্গ:
মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ডব্লিউ/এ) ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় পাল।
শিবলী নোমানী কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া এলাকার মোমিন মৌলভীর ছেলে। তিনি সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগের বিবরণ:
মামলার এজাহারে শবনম মুস্তারী উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের ১৬ এপ্রিল তাদের বিয়ে হয় এবং তাদের সংসারে ১২ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। প্রথমদিকে দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও, হঠাৎ করেই শিবলী নোমানী পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকেন। যৌতুক না দেওয়ায় তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন।
২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়, ফলে তিনি বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। এরপর ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বামীর বাড়িতে গেলে পুনরায় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করা হয়।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য:
শবনম মুস্তারী জানান, তিনি যৌতুকবিরোধী আইনে মামলা করেছেন এবং মামলা এখনও চলমান রয়েছে। মামলার পর থেকেই বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরই মধ্যে শিবলী নোমানী তাকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন, তবে সেটি তিনি গ্রহণ করেননি।
অভিযুক্তের অবস্থান:
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিবলী নোমানীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অন্যান্য অভিযোগ:
শিবলী নোমানীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে শিবির নেতা আবুজর গিফারী হত্যা মামলা অন্যতম। এছাড়াও, তিনি বিগত সরকারের সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।